লাম্বার প্রসেসিং কমপেস্নক্র্ ও করাতকল প্রকল্প(এল.পি.সি), কাপ্তাই,রাঙ্গামাটি পার্বত্য জেলা বশিউক এর একটি বৃহৎ শিল্প ইউনিট। এই ইউনিটটি পার্বত্য চট্রগ্রামের গভীর সংরক্ষিত বনাঞ্চল থেকে বশিউক কর্তৃক,আহরিতব্য বনবিভাগের কাঠের উপর নির্ভরশীল একটি প্রকল্প । কর্ণফুলী কাঠ আহরণ ইউনিটের (৩১/০৩/২০০৫ ইং তারিখে পে-অফকৃত) মাধ্যমে যান্ত্রিক ও হাতী দ্বারা আহরিত পরিপক্ক ও উন্নতমানের গোলকাঠের নির্ভরতার ভিত্তিতে ১৯৬৬-৬৭ ইং সালে এই প্রতিষ্ঠানটি সৃষ্টি করা হয়েছিল। প্রতি বছর পরিবেশ ও বন মন্ত্রনালয়/বনবিভাগ কর্তৃক কর্ণফুলী কাঠ আহরণ ইউনিটের অনুকুলে কুপ বরাদ্দ হত এবং সেই কাঠ যান্ত্রিক ও হাতী দ্বারা আহরণ করিয়া (সংগ্রহ ও বিক্রয় প্রতিষ্ঠান) কাপ্তাই এর মাধ্যমে বশিউকের মাধ্যমে এর শিল্প ইউনিট সমুহে সরবরাহ করা হত। অন্যান্য শিল্প ইউনিটের ন্যায় এই শিল্প ইউনিটটিও পিএসও,কাপ্তাই এর নিকট থেকে বাৎসরিক ৪/৫ লক্ষ ঘনফুট কাঠ সরবরাহ নিত। এই পরিপক্ক ও উন্নতমানের গোলকাঠগুলো চিড়াই ও প্রক্রিয়াজাতকরণের মাধ্যমে বাংলাদেশ রেলওয়ে,বাংলাদেশ পলস্নী বিদ্যুতায়ন বোর্ড, বাংলাদেশ বিদ্যুৎ উন্নয়ন বোর্ড ,বাংলাদেশ নৌ বাহিনী,সড়ক ও জনপথ বিভাগ,বিসিআইসি,বিএসইসি খাদ্য অধিদপ্তর ও বশিউকের অন্যান্য শিল্প ইউনিটসহ প্রাইভেট পার্টির নিকট বৈদ্যুতিক খুঁটি এ্যাংকর লগ,স্টাবিলাইজার লগ,ক্রস-আর্মস,রেলওয়ে সস্নীপার,কেবল ড্রাম,চিড়াই কাঠ ইত্যাদি প্রক্রিয়াজাতকরণ/সিজনিং ট্রিটমেন্ট সহ সরবরাহ করে আসত।
বনবিভাগ/পববেশ ও বন মন্ত্রণালয় কর্তৃক বশিউককে কুপ বরাদ্দ না দেওয়া এবং কর্ণফুলী কাঠ আহরণ ইউনিট, কাপ্তাই পে-অফ হওয়ার প্রেক্ষিতে বশিউকের এই বৃহৎ শিল্প ইউনিটটি কাঁচামাল তথা কাঠের অভাবে দারম্নন সংকটে পড়ে এবং বর্তমানেও এই সংকট অব্যাহত আছে । যে কারনে প্রচুর কার্য্যাদেশ থাকা সত্তেবও কাঠের অভাবে উৎপাদনের লÿ্যমাত্রা অর্জন করা সম্ভব হচ্ছেনা । কাঠ প্রাপ্তির বিষয়ে কেন্দ্রীয়ভাবে বিকল্প ব্যবস্থা গ্রহন আবশ্যক।কাঁচামাল/কাঠের এই সংকট থেকে উত্তোরনের নিমিত্তে বর্তমান আর্থিক সালে রাবার বিভাগ,চট্রগ্রাম জোনের নিয়ন্ত্রনাধীন দাঁতমারা ও ডাবুয়া জীবনচক্র হারানো রাবার গাছ কর্তন,আহরণ ও পরিবহন পুর্বক এই প্রকল্পটিতে চিড়াই করিয়া ডিফিউশান ট্রিটমেন্টের মাধ্যমে বশিউকের শিল্প ইউনিট সমুহে সরবরাহের ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয়েছে ।
রাবার কাঠ প্রক্রিয়াজাতকরণের পাশাপাশি প্রাইভেট উৎস থেকে গর্জন/অন্যান্য প্রজাতির গোল/চিড়াই কাঠ সংগ্রহের পরিকল্পনা হাতে রয়েছে । আশা করা যায়,পরিকল্পনা মাফিক রাবার ট্রিটমেন্টকৃত চিড়াই কাঠ আমত্ম: প্রকল্প সমুহে সরবরাহ সহ খাদ্য অধিদপ্তরের জন্য ডানেজ সরবরাহ এবং বাংলাদেশ নৌ বাহিনীর জন্য চিড়াইকাঠ সরবরাহ করা সম্ভব হলে ২০১১-২০১২ অর্থ বছরে ৫০.০০(পঞ্চাশ লক্ষ) টাকার উর্দ্ধে নীট লাভ করা সম্ভব হবে।
পরিকল্পনা ও বাস্তবায়নে: মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ, এটুআই, বিসিসি, ডিওআইসিটি ও বেসিস